ঢাকা রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

অবিশ্বাস্য হলেও জাপানের সেই বিমানে ৩৭৯ যাত্রীর প্রাণ বাঁচল যেভাবে


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  photo আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪-১-২০২৪ দুপুর ১১:৪৮

জাপানের রাজধানী টোকিওতে সম্প্রতি যে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটে গেলে, তাতে একটি যাত্রীবাহী বিমানের ৩৭৯ জন যাত্রীর সবার বেঁচে যাওয়াকে রীতিমতো ‘অবিশ্বাস্য’ বলছেন দুর্ঘটনা এবং নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা।

যুক্তরাজ্যের ক্র্যানফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপাত্তা ও দুর্ঘটনা তদন্ত বিভাগের অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেইথওয়েইটের মতে, জাপানের বিমান পরিষেবাকর্মীদের অসাধারণ দক্ষতা ও কর্মতৎপরতার কারণেই এই ‘অলৌকিক ঘটনা’ ঘটা সম্ভব হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘আমি ভিডিও ফুটেজে যা দেখলাম, তার ভিত্তিতে বলতে পারি যে এত অল্প সময়ের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমানটির সব যাত্রীকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা  রীতিমতো অবিশ্বাস্য।’

মঙ্গলবার রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিষেবা সংস্থা জাপান এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জাপানের কোস্টগার্ড বাহিনীর একটি ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজের। এ সময় এয়ারবাসটিতে মোট ৩৭৯ জন যাত্রী ছিলেন।

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় নোটো বিভাগে ত্রাণ সরবরাহ করে ফিরছিল কোস্টগার্ডের ড্যাশ ৮ উড়োজাহাজটি। হানেদা বিমানবন্দরে ল্যান্ডিংয়ের সময় রানওয়েতে অপেক্ষমান এয়ারবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় সেটির। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় কোস্টগার্ড উড়োজাহাজের ৫ জন ক্রু নিহত হলেও এয়ারবাসের সব যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এই যাত্রীদের মধ্যে মাত্র ৪ জন আহত হয়েছেন।

ব্রেইথওয়েইট বলেন, ‘ভিডিও ফুটেজ দেখে বোঝা যায়, এই দুর্ঘটনাটি প্রতিরোধ করা অসম্ভব ছিল। তবে জাপান এয়ারলাইন্স তাদের নিরাপত্তা এবং ক্রুদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কী পরিমাণ মনযোগ দেয়, তা আমি জানি। তাদের এই অসাধারণ দক্ষ উদ্ধার তৎপরতাই আসলে এই যাত্রীদের প্রাণ বাঁচিয়েছে।’

সিএনএনকে ব্রেইথওয়েইট জানান, এর আগে ১৯৮৫ সালের ১২ আগস্ট জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমান বিধ্বস্ত হওয়ায় সেই বিমানটির মধ্যে থাকা ৫২৪ জন যাত্রীর মধ্যে ৫২০ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন। রাজধানী টোকিও থেকে ওসাকাগামী সেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হওয়ার প্রধান কারণ ছিল সেটির পেছনের অংশের ত্রুটি এবং এই ত্রুটির জন্য দায়ী ছিল টেকনিশিয়ানরা।

ওই দুর্ঘটনটাটি এখন পর্যন্ত বিমান পরিষেবার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি।

‘জাপান এয়ারলাইন্স সেই ভয়াবহ স্মৃতি ভুলতে পারেনি। এমনিতেই জাপানিরা জাতিগতভাবে পরিশ্রমি এবং সব কাজ যতদূর সম্ভব নিখুঁতভাবে করা তাদের মজ্জাগত অভ্যাস। ওই দুর্ঘটনার পর জাপান এয়ারলাইন্স নিরাপত্তা খাতে নিবিড় মনোযোগ দিয়েছে; আর তার ফলাফল এই প্রায় অলৌকিক উদ্ধার অভিযান। জাপানের বিমান পরিষেবা শিল্পের নিরাপত্তাবিধি আসলে রক্ত দিয়ে লেখা,’ বলেন ব্রেইথওয়েইট।

সিএনএন

Admin / Admin

১০০তম জন্মদিন উপলক্ষে মাহাথিরের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

একটি অশান্ত বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ৪ জুন

ইসরায়েলের গণহত্যা : গাজায় ৬০০ দিনে ৫৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত

ঈদুল আজহার তারিখ ঘোষণা বিশ্বের বৃহৎ মুসলিম দেশের

মালয়েশিয়ায় হাসপাতালে ব্রুনাইয়ের সুলতান

মে মাসে ১০০ বছরের রেকর্ডভাঙা বৃষ্টি দেখেছে মুম্বাই

রাশিয়ার অস্ত্রশিল্পে সহায়তা করছে চীন, অভিযোগ ইউক্রেনের

গাজায় একদিনে নিহত ৮১, মোট নিহত ৫৪ হাজার ছুঁইছুঁই

গুরুত্বপূর্ণ ‘তিন এজেন্ডা’ নিয়ে শুরু আসিয়ান সম্মেলন

গাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতি, ক্ষুধায় কাতরাচ্ছে শিশুরা

গাজায় স্কুলে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা, নিহত ১৯

আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম আইবিডিসিডব্লিউজি-তে ডিএমপির বোম্ব ডাটা সেন্টারের পূর্ণ সদস্যপদ লাভ