‘খরচ কমাতে আলুই বেশি খেতাম, এখন খাব কী?’
ক্রেতারা বলছেন, কারসাজি করে বাজারে আলুর সংকট দেখিয়ে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। বিপরীতে খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে আলুর সংকট থাকায় নতুন করে দাম বেড়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশে আলুর বাড়তি দামের কারণে আমদানিও কমে গেছে।
বাজার করতে আসা মোহাম্মদ আল আমিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বাজারে প্রায় প্রতিটি পণ্যেরই দাম ঊর্ধ্বমুখী। যে কারণে মাসের খাবার খরচ বেড়েছে প্রায় অর্ধেক। কিন্তু আমাদের আয় তো বাড়েনি। দুইটি টিউশনি করিয়ে আগে যা পেতাম, এখনও তাই পাই। কিন্তু যেভাবে সবকিছুর দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের মতো মানুষদের কিছুই কিনে খাবার উপায় নেই।
তিনি বলেন, খরচ কমানোর জন্য আগে অন্যান্য সবজির চেয়ে আলুটাই বেশি খেতাম। এখন দেখি অন্য সবকিছুর চেয়ে আলুর দামই বেশি, তাহলে আমরা এখন খাব কী?
বাজারে আলুর ঊর্ধ্বমুখী দাম প্রসঙ্গে মো. কবির হোসেন নামের এক বিক্রেতা বলেন, বেশি দামে আলু কিনে তো আর কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই। পাইকারি বাজারেই আলুর দাম বেশি। হয়তো এই সিজনে আর আলুর দাম কমবে না। কমার কোনো লক্ষণও নেই।
তাহলে কি দাম বাড়তেই থাকবে? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত হয়ত দামটা আরেকটু বাড়তে পারে। তবে, আমদানি বাড়লে আবার দাম কমেও আসতে পারে।
বাজারে শুধু আলুর দামই নয়, সপ্তাহ ব্যবধানে এক লাফে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। গত সপ্তাহে যেখানে দাম ছিল ১৫০ টাকা কেজি, বর্তমান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকারও বেশি। এছাড়া, বাজারে পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ধুন্দল ৫০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৪০ টাকা কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, রসুন ২৪০ টাকায় ও আদা বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। বাজারে কেবল তুলনামূলক কমদামে বিক্রি হচ্ছে ঢেড়স ৩০ টাকা ও বেগুন ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজিতে।
জসিম উদ্দিন নামক এক বেসরকারি চাকরিজীবী বলেন, আমাদের স্বল্প বেতনে প্রতিদিন মাছ বা মাংস খাওয়া যায় না। কিন্তু সবজির দামও যদি এমন বাড়তি যায়, তাহলে এটা খাওয়াও কমিয়ে দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাজারে সব ধরনের সবজিতে ভরপুর। কোনও সংকট নেই। তারপরও ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়। আমরা আসলে যাব কোথায়? এভাবে একটা দেশ চলতে পারে?
সবজির দাম প্রসঙ্গে বিক্রেতা সায়েদুল ইসলাম বলেন, কিছু জিনিসের দাম শুক্রবার এলে এমনিতেই বেড়ে যায়। যেমন, শসা অন্যান্য দিনে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি করি, কিন্তু শুক্রবারে ৫০-৫৫ টাকায় বিক্রি করি। শুক্রবার গাজরের চাহিদাও বাড়ে, যে কারণে দামটাও বাড়ে।
অন্যান্য সবজির দাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ার দামটা একটু বাড়তি। গরম কমলে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।
Admin / Admin
"ব্যাংকিংয়ে আনন্দ ফিরিয়ে আনা জরুরি"
বাংলাদেশে চীনের জ্বালানি বিনিয়োগের টেকসই শাসন বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের কর্মশালা
২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রথম ৩ মাসে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব
বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
বীমা গ্রাহকরা ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা পাবেন : সোনালী লাইফ
বাংলাদেশ পুলিশের কল্যাণে কনকা এবং গ্রি লোগো সম্বলিত এক হাজার ছাতার মোড়ক উপহার দিল ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ
জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১.২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ
স্বপ্ন চালু করলো প্রথমবার সেলফ-চেকআউট কাউন্টার
চলতি অর্থবছরে পণ্য ও সেবা রফতানির লক্ষ্য ৬৩.৫ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত
আগামি বছর চামড়া সংরক্ষণের আগ্রহ আরও বাড়বে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
কক্সবাজারে এসিআই ক্রপ কেয়ার এর পরিবেশক সম্মেলন অনুষ্ঠিত