ঢাকা রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

সচিবালয়ের আগুনের ঘটনায় আঙ্গুল গনপুর্ত বিভাগ ও পুলিশের দিকে


এম এস হোসাইন photo এম এস হোসাইন
প্রকাশিত: ২৭-১২-২০২৪ দুপুর ১০:৩০

গত ২৫ ডিসেম্বর বুধবার দিবাগত রাত দেড়টায় সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ৬তলা থেকে দাও দাও করে জ্বলতে থাকে আগুন, পুরতে পুরতে ৯তলা পর্যন্ত ছাই হয়ে যায় অধিকাংশ আসবাবপত্র, নথিপত্র। ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতি ঘটে রাত ১টা ৫২মিনিটে প্রায় ৭ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কিছু মন্ত্রণালয় , তারমধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়সহ কয়েকটি দপ্তর।

এখন প্রশ্ন আগুন লাগলো কিভাবে ? অনুসন্ধানে সরকার। আঙুল আমলাদের দিকেই উঠেছে অধিকাংশ বক্তব্যে ।

সচিবালয়ের আগুনের ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় চলছে, তখন এক ফেইসবুক পোস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ মন্তব্য করেন, বাংলাদেশে যারা ‘ফ্যাসিজম’ কার্যকর করেছে, তাদের প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের ‘উদারতার’ পরিণামে জাতিকে ভুগতে হবে ।“আজকে আমলা আগামীকাল অন্য কেউ।”

জাতীয় নাগরিক কমিটির মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, "যাদের রক্তে দালালি, যাদের রক্তে দাসত্ব, যারা এত বছরের অপকর্মের সাথে জড়িত, তাদেরকে আপনি যতই সুযোগ দেন কোনো লাভ নেই। যেকোনো জায়গায়, সেটা সচিবালয় হোক, আমলাতন্ত্র হোক, বাংলাদেশের যেকোনো সরকারি অফিসে হোক। কেউ যদি বিন্দুমাত্র অন্যায়–অনিয়ম, অপকর্ম, দুর্নীতি, ঘুষ এগুলোর সাথে জড়িত থাকে, তাদের চেয়ার থেকে টেনে তুলতে হবে। এই সুযোগ আর দেওয়া যাবে না। ওই তিন, চার, পাঁচই আগস্টে খুনি শেখ হাসিনার পক্ষে স্লোগান দিয়েছিল, তারা এখনো কীভাবে সচিবালয়ে বসে অফিস করে? অথচ এই অভ্যুত্থান যদি সফল না হতো। তাহলে ওই খুনি শেষ হাসিনার দোসররাই আমরা যারা আন্দোলন করেছি, আমাদের সকলকে জেলে ভরার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করত।"

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘ষড়যন্ত্রকারীরা থেমে নেই। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বিগত সময়ে হওয়া অর্থ লোপাট, দুর্নীতি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। প্রাক্তন একজন আমলাকে উদ্দেশ্য করে উপদেষ্টা আরও বলেন,"সাবেক মুখ্য সচিব তোফাজ্জল পিরোজপুরের একটি প্রকল্পে অর্থ লোপাটের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছিল। সেই নথিগুলো পুড়ে গেছে। তবে পিরোজপুর থেকে আবারও সেগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।"

এতে আর বুঝতে বাকি নেই যে, সন্দেহের চোখ আমলাদের দিকেই তাকিয়ে ।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে গণপূর্ত বিভাগ ও পুলিশ-কে দায়ি করছেন প্রশাসনের অধিকাংশ কর্মকর্তা। 

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক যুগ্মসচিব প্রতিবাদ জানিয়ে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন নিজের ফেসবুক পোস্টে,"সচিবালয়ে আগুন লাগার ঘটনায় আমলা (Bureaucrat), বিশেষ করে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষাপটে প্রশাসন ক্যাডারের উপর দোষ চাপিয়ে অনেকেই ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। কারণ আমলাদের উপর দোষ দিয়ে সব কিছুতেই পার পাওয়া যায়! 

সচিবালয়ে যারা প্রবেশ করেছেন তারা জানেন লুকিয়ে রাতের বেলাতো দূরে থাক দিনের বেলাতেও ঢুকতে চেষ্টা করলে নির্ঘাত মারা পড়বেন। 

একজন উপ-পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ, আনসার আর বর্তমান পরিস্থিতিতে, আর্মি-বিজিবি ঘিরে রাখে চারপাশ। চারদিকে তো বটেই ভেতরেও বিভিন্ন পয়েন্টে আছে হাই-রেজুলেশনের নাইট ভিশন ক্যামেরা। একটু পরপর দেখা যাবে ছোট ছোট উঁচু নিরাপত্তা চৌকি। কোনভাবেই এসব এড়িয়ে ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নাই। 

সচিবালয় দেশের প্রশাসন যন্ত্রের হৃদপিণ্ড। এখানে আগুন দেয়া সহজ কোন বিষয় নয়। অফিস শেষে সকল বিল্ডিংয়ের রুমে এবং মূল প্রবেশদ্বারের কলাপসিবল গেটের তালা দিয়ে থাকেন গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীরা।

প্রশাসন ক্যাডারের উপর দায় চাপানোর আগে এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজসহ প্রমাণ দিতে হবে। আর না দিতে পারলে বুঝতে হবে ‘ডাল মে বহুত কুচ কালা হ্যায়!’

মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এক সিনিয়র সহকারী সচিব ফেসবুকে লেখেন,"

সচিবালয়ের সমস্ত বিল্ডিং, ইন্টেরিয়র, কলাপসিবল গেট, স্থাবর সমস্ত কিছুর দায়িত্ব PWD- ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের।

এর নিরাপত্তার দায়িত্ব পুলিশের। 

আমি ও আমরা যে রুমগুলোতে বসি তার চাবিও আমার বা আমাদের স্টাফের কাছে থাকে না। গণপূর্ত যদি রুম খুলে না দেয় তো আমার অফিস করাও সম্ভব না! 

কখনো জরুরি প্রয়োজনে রাতে কোন রুম খুলতে হলে PWD বিভাগের স্টাফ যাদের কাছে চাবি থাকে, তাদেরকে বললে তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা রেজিস্টার খাতায় নাম, পরিচয় লিখে- সাক্ষর দিয়ে রুমে ঢুকতে হয়। চাবি কিন্তু তাদের কাছেই থাকে, রুম খোলা- বন্ধ তারাই করেন।

 রাত গভীরে আগুন লাগাটা কোন গেমের অংশ হতেই পারে, সাবোটাজও হতে পারে। 

প্রত্যাশা - তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।"

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের একান্ত সচিব ফেসবুকে লেখেন,"সচিবালয়ে কাজ করি ১ বছরের বেশী সময় হলো। আমার জানা ও দেখা মতে সচিবালয়ের বিভিন্ন ভবনগুলোতে অফিস চালু হওয়ার আগে গেইট খোলা এবং অফিস শেষে বন্ধ করা, অফিস কক্ষ খোলা- বন্ধ করা, যাবতীয় ইন্টেরিওর ও ইলেকট্রিক ফিটিংস নির্মান-মেরামত-সংস্কার, দেখা-শোনার দায়িত্ব গনপূর্ত বিভাগের। আমরা অনেকেই যে দপ্তরকে পিডব্লিউডি (PWD) হিসেবে জানি।

বিশেষ করে সচিবালয়ে অফিস শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যখন চলে যায় তখন প্রতিটি কক্ষ এবং গেইটের চাবি থাকে গণপূর্ত বিভাগের লোকজনের কাছে।

মধ্যরাতে যখন আগুন লেগেছে, তখন আমলাদের কেউ নিশ্চয়ই অফিসে ছিলো না বা নতুন করে ভিতরে ঢুকে আগুন দেয়নি। 

আর যদি কেউ ঐ মধ্যরাতে সচিবালয়ে আগুন দেয়, সেটা দেখবে দায়িত্বরত পুলিশ, যারা সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।

এখানে আমলা কোত্থেকে আগুন লাগাতে আসলো বাপু, আমার শুধু মাথা চুলকায়!!

এখন শুধু অপেক্ষা , তদন্ত প্রতিবেদনে কি আসে ! 

Rp / Rp

ইতিহাসের সাক্ষী ২৫০ বছরের প্রাচীন বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

পরিবেশসম্মতভাবে কুরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলের সহযোগিতা কামনা পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের

খালেদা জিয়ার গুলশান বাসার কাগজ পৌঁছে দিলেন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান

মিনায় পৌঁছেছেন বাংলাদেশের হজযাত্রীরা

প্রধান উপদেষ্টার কাছে দ্বিতীয় ইন্টেরিম রিপোর্ট জমা দিল গুম সংক্রান্ত কমিশন

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে পরিচালক, আইন ও গণমাধ্যম শাখা কর্তৃক দেশব্যাপী র‌্যাবের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত ব্রিফিং

২৫৪ জন অসচ্ছল সাংবাদিক পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকার কল্যাণ অনুদান বিতরণ

কোরবানির জন্য দেশে পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে - প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ঈদ যাত্রা নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ড. ইউনুসের সাথে বৈঠকে

সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, পিছিয়ে পড়া নারী ও শিশুর অধিকার নিশ্চিত করণে নির্দেশনা প্রদান করেন - উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নবীন কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে : তথ্য সচিব

অবৈধ গ্যাস সংযোগের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে