ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের মিথ্যা অভিযোগের বিরুদ্ধে ৫শ' কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের ওরিয়ন গ্রুপের
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অন্যতম অবদান রাখা ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যে মানহানিকর এবং মিথ্যা প্রতিবেদন প্রচার করায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর চ্যানেলটি বারবার একটি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন সম্প্রচার করেছে। যাতে অভিযোগ করা হয় যে, সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সরকারকে কোনো বিদ্যুৎ না দিয়েও ওরিয়ন সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচার করেছে, ব্যবসায় রাজনৈতিক যোগাযোগ ব্যবহার করেছে।
ওরিয়ন গ্রুপ দৃঢ়ভাবে এসব ভিত্তিহীন দাবি প্রত্যাখ্যান করছে। এ কোম্পানি সবসময় জাতীয় নিয়মনীতি পুরোপুরি মেনে চলেছে, এবং বাংলাদেশের আরও শতাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের মতো একই বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) করেছে ওরিয়ন। দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার প্রতি প্রতিশ্রুতি বজায় রেখে ২০১১ সাল থেকে ওরিয়ন তাদের ছয়টি অত্যাধুনিক, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব এবং সম্পূর্ণরূপে চালু বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৬.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে।
ওরিয়ন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য নেওয়া ঋণের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছে এবং এ টাকা বিদেশে পাচার করেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়ন গ্রুপ নিশ্চিত করছে যে, কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সমন্বয়ে সমস্ত বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার অর্থায়ন করা হয়েছে। কোনো টাকা বিদেশে পাচার হয়নি। ব্যবসায়িক কার্যক্রমের জন্য প্রায়ই ঋণের প্রয়োজন হয় এবং ওরিয়ন ধারাবাহিকভাবে তার সমস্ত ঋণ সময়মতো পরিশোধ করেছে।
এছাড়া দুবাই ও চীনের দুটি বিদেশি কোম্পানি ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন হওয়ার অভিযোগও মিথ্যা। এই কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ওরিয়নের অংশীদারত্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিডিং প্রক্রিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং কোম্পানি দুটির কোনোটিই ওরিয়নের চেয়ারম্যান বা কোন বাংলাদেশি ব্যক্তির মালিকানাধীন নয়। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বহিরাগত রাজনৈতিক মালিকানা নেই।
রাজনৈতিক অংশীদারত্বের মাধ্যমে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে প্রভাব খাটানো এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওরিয়নের সবগুলো বিদ্যুৎকেন্দ্র স্বাধীনভাবে নির্মাণ ও পরিচালিত হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা বা বহিরাগতের সম্পৃক্ততা নেই। ওরিয়ন গ্রুপের কোনো কোম্পানিতে কোনো বাহ্যিক রাজনৈতিক মালিকানা নেই। সমস্ত ব্যবসা এককভাবে ওরিয়নের চেয়ারম্যান এবং তার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত হয়। সেইসঙ্গে অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ওরিয়ন দ্ব্যর্থহীনভাবে অস্বীকার করছে। ওরিয়নের সমস্ত বিনিয়োগ ও অর্থ বাংলাদেশেই রয়েছে, বিদেশে কোনো অর্থ পাচার হয়নি।
যে মিথ্যা দাবি ও মানহানিকর সংবাদ প্রচার করা হয়েছে তা শুধু বিভ্রান্তিকরই নয়, দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার লঙ্ঘনও। যাচাই না করে প্রমাণ ছাড়া এসব প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্দেশ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওরিয়ন গ্রুপের সুনাম নষ্ট করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সত্য প্রতিষ্ঠা এবং মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিত করতে ওরিয়ন গ্রুপ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে।
Admin / Admin
সিলেটের ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর উদ্বোধন করলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা
তারেক রহমানকে নিয়ে বিবিসির প্রতিবেদন প্রকাশ
তারেক রহমানের বিমান ঢাকায় অবতরণ
তারেক রহমানের নিরাপদ প্রত্যাবর্তনে ডাঃ আমান উল্লাহর উদ্যোগে রামগতি-কমলনগরে দোয়া মাহফিল
সুপারিশ বাস্তবায়ন নিয়েও শঙ্কা, পে-স্কেল নিয়ে অনিশ্চয়তা
বাংলাদেশ, জাপান EPA আলোচনা সমাপ্ত
অনেক ক্ষেত্রেই হ্রাস করে ফেলেছে অন্তর্বর্তী সরকার তার বৈধতা ---- দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
প্রথাগত শিক্ষার পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপের উপর গুরুত্ব দিতে হবে -- ড. মোহাম্মদ আবু ইউছুফ
শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম -মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব
কবি নজরুলের পাশে চিরনিদ্রায় থাকবেন ওসমান হাদি
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ
হাদির সংগ্রামী জীবন-আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে: পরিবেশ উপদেষ্টা