ঢাকা বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মৌচাক মার্কেট স্বর্নচোর চক্রের ৪ জন গ্রেফতার


জালালুর রশিদ খান  photo জালালুর রশিদ খান
প্রকাশিত: ১২-১১-২০২৪ দুপুর ৪:৩৯

মৌচাক মার্কেট, ঢাকায় অবস্থিত আসিফ জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ আলিম উদ্দিনের দোকানে বিগত চার বছর যাবত কর্মচারী হিসেবে কাজ করে আসছিল আসামী মোঃ হিমেল মিয়া (২০), পিতা- মো: তাজু মিয়া, গ্রাম: নবীয়াবাদ, হাজপাড়া, থানা- নান্দাইল, জেলা- ময়মনসিংহ। হিমেল প্রথমে দোকানে ক্লিনার হিসেবে কাজ করতো। তিন বছর কাজের অভিজ্ঞতা ও বিশ্বস্ততার জন্য পরে তাকে উক্ত দোকানের সেলসম্যান হিসেবে নিযোগ দেওয়া হয়।

হিমেল দোকানের সেলসম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরই স্বর্ণ চুরি করার অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করে এবং সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। তার এ পরিকল্পনার কথা বন্ধু মহলে আলাপ করলেও বন্ধুরা তাকে এই কাজ করতে নিষেধ করে। পরবর্তীতে হিমেল স্বর্ণ চুরির বিষয়টি নিয়ে পূর্বপরিচিত ফারজানা আক্তার ইতি (২৭), পিতা- আব্দুর জব্বার, বর্তমান ঠিকানা ১৭ মৌলভীরটেক, খিলগাঁও, রামপুরা, ঢাকা, স্থায়ী ঠিকানা - ২০ কলেজ রোড, ময়মনসিংহ সদর এবং ইতির স্বামী মাশফিক আলম (২৮), পিতা- শাহ আলম, ঠিকানা: সাং- গুয়ারগাছিয়া, থানা- গজারিয়া, জেলা- মুন্সিগঞ্জ এর সাথে আলোচনা করে এবং একসাথে বেশি স্বর্ণ হাতে পেলে তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে মর্মে একমত হয়।

আসিফ জুয়েলার্সের মালিক ও ম্যনেজার প্রায়ই হিমেলকে স্বর্ণের কাজ করানোর জন্য পাশের আনারকলী মার্কেটের কারখানায় স্বর্ণ দিয়ে পাঠাতেন এবং কাজ শেষ করে হিমেল স্বর্ণ দোকানে ফেরত নিয়ে আসতো। ঘটনার দিন ৩০ অক্টোবর, ২০২৪ হিমেলকে স্বর্ণ নিয়ে আসার জন্য কারখানায় পাঠানো হয়। হিমেল কারখানা থেকে আনুমানিক ৫৯ ভরি স্বর্ণ নিয়ে দোকানে না এসে পূর্বপরিকল্পনা মতো পালিয়ে গিয়ে চক্রের অন্যতম সদস্য মাশফিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে তার পরামর্শেই মাশফিকের বাসায় তার স্ত্রী ইতির কাছে যায় এবং এর পর থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ করে পলাতক হয়।

পরবর্তীতে একই দিনে চতুর হিমেল কৌশল অবলম্বন করে ৩৩ ভরি স্বর্ণ নিজের নিকট রেখে দিয়ে চক্রের অন্য সদস্যদের জানায় সে ২৫ ভরি স্বর্ণ সে চুরি করতে সক্ষম হয়েছে। হিমেল স্বর্ণসহ ইতির বাসায় পৌঁছানোর পর ইতিকে ২৫ ভরি স্বর্ণের বারটি রাখার জন্য দেয়। এরপর ইতি হিমেল কে সঙ্গে করে উত্তরা নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে বাসে উঠিয়ে দেয় এবং ইতির বাবা আব্দুর জব্বার কে ফোন করে বলে হিমেল কে রিসিভ করে ময়মনসিংহ সদরে তাদের বাসায় রাখার জন্য।

দোকানে না আসায় এবং হিমেলের সাথে যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আলিমুদ্দিন নিশ্চিত হন যে হিমেল স্বর্ণ চুরি করে পালিয়েছে। অতঃপর উক্ত ঘটনায় আসিফ জুয়েলার্সের মালিক আলিমুদ্দিন বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি চরির মামলা দায়ের করেন এবং সিআইডি'র কাছে স্বর্ণ উদ্ধারের উদ্দেশ্যে একটি অভিযোগ প্রদান করেন। অভিযোগ প্রাপ্তির পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করার কাজ শুরু করে।

ইতোমধ্যেই পরিবেশ পরিস্থিতি বুঝে আসামী মাশফিক তার স্ত্রী ইতির নিকট রাখা স্বর্ণের বার নিয়ে ময়মনসিংহ সদরে মাশফিকের শ্বশুর আব্দুর জব্বার এর নিকট যায়। যাতে তারা ধরা না পরে সে জন্য আব্দুল জব্বার, হিমেল ও মাশফিক স্বর্নের বারটি টুকরো টুকরো করে বিক্রি করার পরিকল্পনা করে এবং স্বর্নের বারটিকে তিনটি টুকরা করে। সেখান থেকে একটি টুকরা (৭ ভরি) নিয়ে মাশফিক ময়মনসিংহের স্থানীয় স্বর্ণের দোকানে স্বর্ণ বিক্রি করে ৮ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পায়।

পরবর্তীতে উক্ত টাকা হতে হিমেল নিজের জন্য একটি iPhone 15 Pro, মাশফিক নিজের জন্য vivo v40 এবং ইতির জন্য একটি Honor 8xb মোবাইল এবং নিজেদের জন্য জামা-কাপড় ক্রয় করে। মাশফি অবশিষ্ট টাকা, ১৯ ভরি স্বর্ণ ও প্রায় ৪,৬১,৫০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় ফিরে তার স্ত্রী ইতির নিকট রেখে কক্সবাজার আত্মগোপনে চলে যায়। সাইবার পুলিশ সিআইডির একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মাশফিকের কক্সবাজারে অবস্থান সনাক্ত করে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে, গ্রেফতারকালে তার নিকট হতে স্বর্ণ বিক্রির ২৭ হাজার টাকা ও ৬৩,০০০/- টাকা মূল্যের একটি vivo v40 মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

এরপর মাশফিকের দেওযা তথ্য মতে মাশফিকের স্ত্রী ফারজানা আক্তার ইতিকে রামপুরা মৌলভীটেকের বাসা হতে গ্রেফতার করা হয়, গ্রেফতারকালে ইতির বাসার ডিপ ফ্রিজের ভেতর থেকে দুটি স্বর্ণের টুকরা (১৯ ভরি) এবং স্বর্ণ বিক্রির ৪ লক্ষ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। ইতির দেওযা তথ্য মতে পরবর্তীতে ময়মনসিংহে অভিযান করে ইতির পিতা আব্দুর জব্বার (৭০) পিতা- আরব আলী শেখ, ঠিকানা- ২০ কলেজ রোড, ওয়ার্ড নং- ৫, ময়মনসিংহ সদরকে গ্রেফতার করা হয়। আব্দুল জব্বারকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় আসিফ জুয়েলার্স এর কর্মচারী আসামী হিমেলকে সে তার ভাতিজার গৌরীপুরের বাসায় লুকিয়ে রেখেছে।

সাইবার পুলিশের অন্য একটি টিম বোকাইনগর, গৌরিপুর, ময়মনসিংহ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হিমেলকে গ্রেফতার করে এবং তার নিকট হতে ৩৩ ভরির একটি স্বর্ণের বার এবং স্বর্ণ বিক্রির টাকায় ক্রয়কৃত ১,১৫,০০০/- টাকা মূল্যের iPhone 15 Pro মোবাইল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। বর্তমানে মামলাটি সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডির নিকট তদন্তাধীন আছে।

Rp / Rp

১৬০০ লিটার নকল মবিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে বংশাল থানা পুলিশ

সাবেক সচিব ভুঁইয়া মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামসহ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের আরও সাত নেতাকর্মী গ্রেফতার করেছে (ডিবি)

গোয়ালন্দের লাশ পোড়ানো ঘটনায় ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে

ঢাকা মহানগর উত্তর ৩১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে সিটিটিসি

ডিবি পরিচয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সাত সদস্য গ্রেফতার; গাড়িসহ ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত নানা সরঞ্জাম উদ্ধার

১০০০০ পিস ইয়াবা ও মোটরসাইকেলসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ডিবি

প্রায় এক কোটি বিশ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের হেরোইনসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)

বুয়েট শিক্ষার্থীদের যমুনা অভিমুখে যেতে বাধা প্রদানের ঘটনায় আট পুলিশ সদস্য আহত

৫০০০ পিস ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে বংশাল থানা পুলিশ

ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা ও শাহ আলী থানার ওসি বদলি

সাংবাদিক ফিরোজ আহম্মদকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামী মিলন হোসেন কে সাভার হতে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-০২

অভয়নগরে চাঞ্চল্যকর প্রতিবন্ধী ভ্যানচালক 'লিমন' হত্যাকান্ডে রুজুকৃত ক্লুলেস মামলার মূল রহস্য উদঘাটন

কামরাঙ্গীরচরে যুবক হত্যা; ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটনসহ মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার