ন্যায় বিচার না পাওয়ার শঙ্কা!
জয়পুরহাটে খোলা জায়গায় নষ্ট হচ্ছে মামলার আলামত

জয়পুরহাটে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে জব্দ হওয়া বিভিন্ন মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত। অযত্ন-অবহেলায় আলামতগুলোর বেশির ভাগই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় আদালত চেয়ে পাঠালে তা পাওয়া যায় না। এতে বিচারপ্রার্থীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রায় তিন দশক ধরে জেলা প্রশাসন ভবনের পাশে এবং ট্রেজারি অফিসের সামনে মালখানা হিসেবে কয়েকটি রুমে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা জজ আদালতের বিভিন্ন মামলার আলামত সংরক্ষণ করা হয়। কিন্তু মালখানার রুমে জায়গা সংকটের কারণে বর্তমানে অতিরিক্ত মালপত্র বারান্দা ও খোলা আকাশের নিচে যত্রতত্র ছিটিয়ে রাখা হয়েছে। জয়পুরহাট দেশের সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদক সহ নানা অপরাধের ঘটনায় বিভিন্ন মালপত্র জব্দ করে। পাশাপাশি কাগজপত্রবিহীন আটক করা বিভিন্ন যানবাহনের সংখ্যাও কম নয়। মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে এখানে রয়েছে প্রাইভেটকার, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, সাইকেল, চোলাই মদ, মাদকদ্রব্য, দেশীয় অস্ত্রসহ জব্দ করা বিভিন্ন মালপত্র। ধুলার আস্তরণের কারণে বোঝার উপায় নেই কোনটা সচল আর কোনটা অচল।
বছরের পর বছর অযত্ন-অবহেলায় বেশ কিছু যানবাহনের কাঠামো বা চেসিস ছাড়া অবশিষ্ট কিছুই নেই। অন্য আলামতগুলোর একই অবস্থা। কয়েক বছর আগে জেলা জজ আদালতের সামনে চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বহুতল ভবন নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু অরক্ষিত আলামতগুলো সংরক্ষণের জন্য স্থানান্তর করা হয়নি। সচেতন মহলের দাবি, ন্যায় বিচারের স্বার্থে এগুলো চিফ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কোনো রুমে স্থানান্তর করা দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুস সালাম সরদার বলেন, 'মামলার আলামতগুলো বিচারের স্বার্থে এখানে রাখা হয়েছে। কিন্তু বছরের পর বছর রোদ-বৃষ্টি ও ঝড়ে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, যা আগামীতে মামলার জন্য অসুবিধা হতে পারে। এগুলো নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতকে অনুরোধ করব।'
জয়পুরহাট ট্রেজারি শাখার প্রধান সহকারী এস,এম মোরশেদ বলেন, 'আমাদের অফিসের সামনে দীর্ঘদিন ধরে রিকশা, ভ্যান ও অন্য যানবাহন সহ বিভিন্ন মালপত্র জমা হয়ে আছে। এ কারণে এখানে সাপ ও পোকা মাকড়ের বসতি গড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কোর্টের মালখানা না থাকায় আলামতগুলো এখানে রাখা হয়েছে। আমাদের ভবনটি কোর্টের মালখানা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আলামতগুলো অন্যত্র স্থানান্তর হলে এখানকার পরিবেশ ভালো হতো। আমরা এখানে ফুলের বাগান করতে পারতাম।
'জেলা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) শাহনুর রহমান শাহীন বলেন, 'একটি মামলার জন্য আলামত অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ন্যায়বিচার পেতে গেলে অবশ্যই আলামত আদালতে উপস্থাপন করতে হবে। সেখানে এগুলো অরক্ষিত ভাবে রয়েছে। আমরা অনেক সময় আলামত চেয়ে পাঠালে পাওয়া যায় না, তারা বলেন খুঁজে পাচ্ছেন না। যার কারণে মানুষ ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের অনেক রুম ফাঁকা আছে। জেলা জজ বা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে আলামতগুলো যেখানে সুন্দও ভাবে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। তাহলে আলামতগুলো সঠিক ভাবে আদালতে উপস্থান করা যাবে। এতে বিচার প্রার্থীদের সুবিধা হবে ও ন্যায়বিচার পাবেন।'
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আফরোজা আকতার চৌধুরী বলেন, 'মালখানা ও খোলা আকাশের নিচের মালপত্রগুলোর বিধি সম্মত ব্যবস্থার জন্য জেলা জজের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
Rp / Rp

দেলদুয়ার নাগরপুর বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশী জুয়েল সরকারের সঙ্গে মতবিনিময় সভা

জয়পুরহাটে বছর না ঘুরতেই সেতুতে ফাটল!

মানিকগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেফতার

মহাদপুরে মজুদ বিরোধী অভিযানে ৭ টি চাউল কলে ৬ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা

রাজশাহীতে ইউনিয়ন পরিষদেই মিলছে ‘কম্পিউটার প্রশিক্ষণ

‘ভূ-উপরিস্থিত পানি শোধানাগার নির্মাণ প্রকল্প’ দৈনিক ২০ কোটি লিটার পরিশোধিত পানি পাবে নগরবাসী

রাজবাড়ীতে মাদক - সন্ত্রাসের ভয়াল ছোবল; ঢাকায় যুবকের প্রতিবাদী অবস্থান

গারো পাহাড় সীমান্তে অজগর উদ্ধার : বনে অবমুক্ত করলো বন বিভাগ

বাগেরহাটে যাত্রাপুর হাটের সরকারি জমিতে অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধ

সাটুরিয়ায় এক গৃহবধুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

রেলওয়ে স্টেশনের ইঞ্জিন নয় কড়াই গাছের কোটরের আগুন দেখতে উপচে পরা মানুষের ভীড়

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে রকি হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার
