কুষ্টিয়ায় পায়রা নামে এক বোনকে হত্যার পর হত্যা মামলার প্রধান আসামি আপন ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামির নাম মোঃ মোহন বিশ্বাস(৩৬)।চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় বাদী হয়েও আইনের হাত থেকে বাচঁতে পারলেন না ভাই মোহন বিশ্বাস।এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই কুষ্টিয়া শাখার উপ পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ শরিফুল ইসলাম। তথ্যসূত্রে জানা যায়, পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম(বার)এর নির্দেশনা মোতাবেক পুলিশ সুপার পিবিআই কুষ্টিয়া মোঃশহীদ আবু সরোয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পিবিআই কুষ্টিয়ার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ শরিফুল ইসলাম মামলার ঘটনার সাথে সূত্ররোক্ত মামলার বাদীর সম্পৃক্ত থাকার তথ্য প্রাপ্ত হন। পিবিআই কুষ্টিয়ার একটি অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে বাদী মোঃ মোহন বিশ্বাস (৩৬), পিং-মৃত আতিয়ার রহমান, সাং-ডাঁসা, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়াকে গ্রেপ্তার করে।আসামী মামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার বিষয়টি স্বীকার করেছে।আটক মোহন জানায়,তার বোন পায়রা অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়।গত কয়েক দিন পূর্বে কোন এক বিকেলে মোহনের স্ত্রী সুখি বেগম এবং পায়রা প্রচন্ড ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুখি বেগম ও মোহন বিশ্বাস পায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক মোহন রাতে পায়রাকে বাড়ির বাইরে ডেকে নিয়ে যায়। সুখী বেগম পায়রার মাথায় ইট দিয়ে সজোরে আঘাত করে।পায়রা মাটিতে লটিয়ে পড়লে মোহন ও তার স্ত্রী সুখি বেগম ২টা ওড়না পায়রার গলায় পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং লাশটি পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে দেয়।গত শনিবার বিকাল ০৫.০০ ঘটিকায় মোহন বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি প্রদান করে।পরবর্তীতে ০৬/০৩/২০২২ খ্রিঃ তারিখ ভোর ০৬:১০ ঘটিকার সময় বদীর বাড়ি হতে আনুমানিক ১/২ কিঃমিঃ দূরে কুমারখালী থানাধীন ডাসা গ্রামস্থ বাদীর চাচার বাড়ি সংলগ্ন পকুরের মধ্যে পায়রার লাশ পাওয়া যায়।কুমারখালী থানা পুলিশ লাশের ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করতঃ কুমারখালী থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করে।