সংগ্রামী নারীনেত্রী ইলামিত্রের মৃত্যুবার্ষিকী আজ
সাহসী সংগ্রামী "রাণীমা" খ্যাত জলন্ত এক অগ্নিশিখা নারী নেত্রী ইলা মিত্রের ২৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৩ অক্টোবর । ইলামিত্র তেভাগা আন্দোলনের ইতিহাসের বাঁকে এক লড়াকু নারী। ১৯৪৬ থেকে প্রায় ১৯৫০ সাল পর্যন্ত রাজশাহীর নবাবগঞ্জ অঞ্চলে ‘তেভাগা আন্দোলনে’র নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। এসবের ফলে গ্রামের কৃষক ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে তিনি হয়ে ওঠেন তাঁদের ‘রানীমা’।
ইলামিত্র ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বাগুটিয়া গ্রামে। জন্মের সময় তার নাম ছিল ইলা সেন। কৃষক নেতা জমিদারপুত্র রমেন্দ্রমিত্রের সাথে বিবাহের পর ইলাসেন হয়ে ওঠেন ইলামিত্র। ঝিনাইদহের শৈলকুপার বাগুটিয়া গ্রামে কালের সাক্ষী হিসেবে এখনও দাড়িয়ে আছে ইলামিত্রের বাবার দ্বিতল বাড়িটি। সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাড়িটিকে প্রত্নসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করে গেজেটভুক্ত করলেও অজানা কারনে এখনও বাড়িটিকে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম হলেও ইলামিত্রের শৈশব বিজড়িত বাড়িটি উদ্ধার হয়নি।
ইলামিত্র প্রথম বাঙালি মেয়ে হিসেবে ১৯৪০ সালে জাপানে অনুষ্ঠিত অলিম্পিকের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন । যদিও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই অলিম্পিক, তবে ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম নেওয়া এই নারী নিজের লড়াকু মনোভাব চিনিয়েছিলেন সেই কিশোরী সময়েই। কলকাতার বেথুন কলেজে বাংলা সাহিত্যে বিএ সম্মান শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালীন রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটে তাঁর। নিজেকে সম্পৃক্ত করেন ‘মহিলা আত্মরক্ষা সমিতি’ নামের সংগঠনের সঙ্গে। সেখানে নারীদের অধিকার নিয়ে শুরু হয় তাঁর আন্দোলন এবং খুব দ্রুতই ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির সক্রিয় কর্মী হয়ে ওঠেন, যখন তাঁর বয়স মাত্র ১৮। সেই থেকে শুরু তাঁর অপরাজেয় জীবনযাত্রা এবং নারী নেতৃত্বের অসাধারণ এক ব্যক্তিত্বের বর্হিপ্রকাশের দ্বীপজ্বালা চরিত্রে রুপান্তর।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতেও ইলা মিত্রের ছিল সক্রিয় ভূমিকা। প্রগতিশীল নারী, তুখোড় মেধাবী, খেলোয়াড়, সাহসী রাজনৈতিক কর্মী ও শিক্ষক হওয়ার পাশাপাশি নিজেকে লেখক হিসেবেও পরিচিত করে তুলতে সফল হয়েছিলেন তিনি। অনুবাদ করেছিলেন বেশ কয়েকটি রুশ গ্রন্থ। ‘হিরোশিমার মেয়ে’ গ্রন্থটি অনুবাদের জন্য তিনি লাভ করেন ‘সোভিয়েত ল্যান্ড নেহরু অ্যাওয়ার্ড’। তবে তাঁর জীবনের গতিপথ কখনোই মসৃণ ছিল না, আর তা নিয়ে তিনি কখনো করেননি আক্ষেপও। ২০০২ সালে মৃত্যুবরণের আগপর্যন্ত তিনি রাজনৈতিকভাবে সচেতন ও সক্রিয় ছিলেন। বিভিন্ন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে টিকে থাকার সংগ্রামী মানসিকতা তাই মৃত্যুর পরও তাঁকে স্মরণীয় করে রেখেছে সর্বস্তরে।
অক্টোবর মাসেই বিপ্লবী নেত্রী ইলা মিত্রের জন্ম ও মৃত্যুদিন। ১৯২৫ সালের ১৮ অক্টোবর জন্ম নেওয়া এই মহীয়সী নারী মারা যান ২০০২ সালের ১৩ অক্টোবর।
"নাচোলের রাণীমা" খ্যাত নারী নেত্রী, উপমহাদেশে কৃষকদের নায্য অধিকার বুঝিয়ে দেওয়া সেই কালজয়ী "তেভাগা আন্দোলন"র মাধ্যমে প্রত্যন্তের জনমানুষ ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক কাঠামোতে অবদান রাখা কৃষককূলের বৈষম্যের অবসানে এক দরদী নারী ইলা মিত্রে বিপ্লবের ইতিহাসের অন্যতম কন্ঠস্বর। তাঁকে সম্মান জানিয়ে সরদার ফজলুল করিম যথার্থই বলেছিলেন, "ইলাদি, আপনি মৃত নন; জীবিত। আপনার কাছে আমাদের জীবনের ঋণের শেষ নেই। আপনি আমাদের পাশে আছেন; আমাদের সাথে আছেন এবং আমাদের সংগ্রামের লাইনের একেবারে সম্মুখে আছেন। আমরা বলছি: জয়তু ইলা মিত্র। জয়তু ইলা মিত্র।"
Rp / Rp
সন্যাসীরচর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
ডামুড্যায় নুরুদ্দিন অপুকে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দিলো আ. লীগের অর্ধশত নেতাকর্মী
মনোনয়ন পরিবর্তনে শিবচরে বিএনপি একাংশের ক্ষোভ, মশাল মিছিল
ফ্যাসিবাদের রানী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য অভিশাপ-মোড়েলগঞ্জে শিবির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম
খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বাগেরহাটে বিএনপির কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল
বাগেরহাটে রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস উদযাপন
ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মুনাজাত
স্থগিত হওয়া মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন পেলেন নাদিরা মিঠু
গণতন্ত্র ও ঐক্যের প্রতীক ধানের শীষ : নুরুদ্দিন অপু
নড়াইল -২ আসনে ধানের শীষ পেলেন মোঃ মনিরুল ইসলাম
মাদারীপুরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সেমিনার অনুষ্ঠিত
বাগেরহাটে আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত ফার্নিচারের দোকান, ক্ষতি প্রায় ১০ লাখ টাকা
শিবচরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
Link Copied