রেলওয়ের যুগ্মমহাপরিচালক (ইএমই) কুদরত ই খুদার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়

বাংলাদেশ রেলওয়ের যুগ্মমহাপরিচালক (ইএমই) কুদরত ই খুদার বিরুদ্ধে দূর্নীতি,স্বজন প্রীতি, নারী কেলেঙ্কারিসহ সরকারি অর্থে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে নির্মলে ভ’মিকা পালনের অভিয়োগ উঠেছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় ক্ষমতার সামনে আসা কুদরত রাজশাহীতে দায়িত্ব পালনের সময় দূর্নীতি ও সরকারি অর্থ লোপাটের উৎসবে মেতে ছিলেন। আওয়ামীলীরে দূর্নীতিবাজ শীর্ষ নেতা রাজশাহীর সিটি মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের ছত্র ছায়ায় কুদরত নিজেকে অপ্রতিরোধ্য করে তোলেন। জড়িয়ে পড়েন অর্থ ও নারী কেলেঙ্কারিতে।
সূত্র বলছে, মেয়র লিটনের ছত্র ছায়ায় স্থানীয় রাজনীতিক ও হাতে গোনা কয়েকজন ঠিকাদারের পাশাপাশি গণমাধ্যমের কয়েকজন দলবাজ সাংবাদিকদের নিয়ে কুদরত গড়ে তোলে বিশেষ সিন্ডিকেট। সে সিন্ডিকেটই নির্ধারণ করে দিতে রেলওয়েতে কি হবে বা হবে না।
গোয়েন্দা সূত্র বলছে রাজশাহীতে অবস্থান কালে মেয়র লিটনের আর্শিবাদে ধরাকে সরা জ্ঞান করে দূর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারিসহ অর্থ লোপাটের পাশাপাশি রেলওয়ে শ্রমিকদের বড় অংশকে তিনি আওয়ামী বিরোধীমত দমনে নির্লজ্যভাবে ব্যবহার করেছেন। আর সরকারি অর্থের যথেচ্ছা লুটপাটের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমান জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মালিক বনে গেছেন।
সূত্র বলছে, রেলে টেন্ডার, নিয়োগ বদলিসহ চাঁদাবাজি, নতুন রেলকে অকেজো দেখিয়ে মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকা লুটে নিয়েছে এই কর্মকর্তা। সেই সাথে বিপুল সম্পদ আর অবৈধ ক্ষমতা র্চচার সময়ে জড়িয়েছেন একাধিক নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায়। সুত্র বলছে, মেয়র লিটনের ক্ষমতা ব্যবহার করে কুদরত গড়ে তোলেন একটি বিশেষ ঠিকাদারি সিন্ডিকেট। যে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেছেন সব কিছু। আওয়ামী রাজনীতিতে প্রভাবশালী এসব সিন্ডিকেটভূক্ত ঠিকাদারের ভয়ে কুদরতের প্রকাশ্য অরাজকতার বিরুদ্ধে টু শব্দাট করার সাহস পায়নি কেউ।
জানা গেছে, পশ্চিমাঞ্চল যান্ত্রিক বিভাগে ৪৭৩ জন্য কর্মী আউট সোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম করেন কুদরত ই খুদা। অতীতের নিয়ম ভেঙ্গে নিজ স্বার্থে ব্যাপক অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে রেলের ব্যাপক ক্ষতি সাধান করেন। সূত্র বলছে ৪৭৩ জন কর্মি নিয়োগে প্রত্যেকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়েছেন কুদরত। এ খাত থেকেই তিনি লুটে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এ কাজ করতে তিনে নিজে উদ্যোগী হয়ে রেলের নিয়ম ভেঙ্গেছেন।
জানা যায়, আগে যে টিএলআর বা অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগ করা হত তা ছিল কেবল শূন্য পদের বিপরীতে, ফলে সেখানে পদ শূন্য না থাকলে নিয়োগ করার কোন সুযোগই থাকতো না। সে নিয়ম ভেঙ্গে কুদরত প্রভাব খাটিয়ে নিয়মই পাল্টে ফেলেন, তার প্রবর্তিত নিয়ম অনুযায়ী, যে কোন সরকারি অফিস ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির যে কোন পদে যত ইচ্ছে নিয়োগ আউটসোর্সিং প্রক্রিয়ায় নিয়োগ প্রদান করতে পারবে। তাছাড়া প্রতি বছর শেষে সেবাদানকারী ঠিকাদারের সাথে সেবা গ্রহণকারী কর্মকর্তা পুনরায় ১ বছরের চুক্তি নবায়ন করতে পারবে।
রেলওয়ে সূত্র বলছে এ কাজটি কুদরত নিজে উদ্যোগী হয়ে নিজেই অনুমোদন করেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, কুদরতের দুর্নীতির মাধ্যমে নিয়োগ পাওয়া এই ৪৭৩ জনের মধ্যে অর্ধেককেই মাঠে পাওয়া যায়নি। এইসব কর্মচারী সংশ্লিষ্ট ইনচার্জের সাথে বেতনের ৩০% বা ৪০% দেওয়ার চুক্তিতে রয়েছেন। এর ফলে কাউকে অফিস করতে হয় না। প্রতি মাসে একদিন অফিসে এসে সাইন করে গেলেই হয়। পরে মাস শেষে ইনচার্জকে চুক্তি মোতাবেক পার্সেন্টেজ দিয়ে টাকা তুলে নিয়ে যায়।
এভাবেই ইনচার্জরা তাদের কমিশন বাণিজ্য নিয়মিত পরিচালনা করে আসছেন। তাছাড়া বাকী যারা সার্ভিসে আছেন তাদেরও বড় একটা অংশ বড় স্যারদের বাসায় বাসায় ৪/৫ জন করে পালাক্রমে ডিউটি করছেন। তাদের কেউ স্যারের নিয়মিত বাজার করেন, কেউ সবজি বাগান করেন, কেউ আবার স্যারের ছেলেমেয়েকে স্কুলে আনা নেওয়ার কাজ করেন। এভাবেই চলছে তথাকথিত আউটসোর্সিং এর নামে নিয়োগকৃত কর্মচারীদের দিনকাল। এছাড়াও রেলভবনের অনেক প্রভাবশালী স্যার মেডামদের বাসায়ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রাপ্তরা কাজ করে থাকেন।
গণমাধ্যমের হাতে আসা কুদরতোর সম্পদের যে সামান্য এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, এছাড়াও কুদরত একের পরে এক লাভজনক পদে থাকার সুবাদে তিনি প্রায় শত কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রাজশাহী বহরমপুর সম্প্রতি তিনি ৫ তলার একটা আলিশান বাড়ি গড়েছেন। যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৮-১০ কোটি টাকা।
রাজশাহী শহরের শিরোইল কলোনীতে তার রয়েছে একটা ৫ তলা বাড়ি, পদ্মা আবাসিকে একাধিক ফ্ল্যাট। রাজশাহী রেলভবনের একটি সূত্রে জানা যায়, ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ২টি, মোহাম্মদপুর ও ধানমন্ডিতে ১ টি করে ফ্ল্যাট রয়েছে কুদরতের। তাছাড়া ঢাকায় এক রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ীর সাথে তার রয়েছে পার্টনারশিপ ব্যবসা। এ সব বিষয়ে জানতে, কুদরতের মুঠোফোনে বার বার যোগযোগ করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
Admin / Admin

বিএনপির সাম্প্রতিক চীন সফরে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক, সম্ভাবনা ও বাস্তবতা

ঈদুল আযহা উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে বিশেষ নির্দেশনা সিএমপির

লন্ডনের উদ্দেশ্যে ডাঃ জুবাইদা রহমান

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত

৪৭ বছর ধরে সুবিধাবঞ্চিত শিশু কিশোরদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে "সুরভি" - ডা. জুবাইদা রহমান

"কমিউনিস্ট পার্টি অফ চায়না" এর আমন্ত্রণে বেইজিং এ বিএনপি'র প্রতিনিধি দল

উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সকল কর্মকর্তা- কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন

ঈদের আনন্দের সাথে প্রকৃতি রক্ষায় কাজ করার আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার

বাংলাদেশ সেন্টার ফর লিপাবলিকানস (বিসিআর)-এর অনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু

তামিম ইকবালের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিলেন প্রধান উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে জানিপপ চেয়ারম্যানের শোক
