ঢাকা রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

সাটুরিয়ায় গ্যারেজ বন্দি ৩৬ লাখ টাকার টোকাই প্রকল্প


সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সাটুরিয়া উপজেলাকে ক্লিন সাটুরিয়া ও গ্রিন সাটুরিয়া নির্মাণে উপজেলা উন্নয়ন বরাদ্ধ (এডিপি) রাজস্ব থেকে একটি টোকাই প্রকল্প গ্রহন করা হয়। উপজেলা উন্নয়ন প্রকল্পর বরাদ্ধ থেকে টোকাই প্রকল্পের নামে দুটি ডাম্পিং গাড়ি ক্রয় করা হয় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে । এতে ব্যয় করা হয় ২৫ লক্ষ টাকার বেশি। এ টোকাই প্রকল্পকে সহযোগিতা করার জন্য ৯টি ইউনিয়নে আরো ব্যয় করা হয় ১০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ক্রয় করা হয় ৯টি ব্যাটারিচালিত ট্রলি। সেগুলো বন্দি ইউনিয়ন পরিষদের গ্যারেজে।
 
জানাযায় সাটুরিয়া উপজেলার ঘনবসতি এলাকার ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা সাটুরিয়ার যেকোন স্থানে একটি ডাম্পিং ষ্টেশন করার জন্য প্রস্তাব করেন। যা ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে মাসিক সমন্নয় সভায় অনুমোদন করেন উপজেলা পরিষদ। 
 
ময়লা আর্বজনা ফেলার স্থায়ী ডাম্পিং ষ্টেশন নির্মাণ না করে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে সাটুরিয়া উপজেলা পরিষদের বিরুদ্ধে। দরপত্রের মাধ্যমে কোন গাড়ির ক্রয় বিক্রয় প্রতিষ্ঠান কাজটি না পেলেও কাজটি পেয়েছিলেন রাস্তা নির্মাণের ঠিকাদার আর কে এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। 
 
সাটুরিয়া উপজেলা প্রশাসন কিছু ময়লা আর্বজনা সংগ্রহ করে গাড়িতে ভরে আনা হয়েছিল বালিয়াটি ঈশ্বর চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। গত ৫ জুন দুই টোকাইকে উদ্ভোধন করেছিল তৎকালীন জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার। উদ্বোধনের পর থেকেই টোকাইরা গ্যারেজে বন্দি রয়েছে। এ প্রকল্প গ্রহন করেছিলেন তৎকালীন ইউএনও শান্তা রহমান। এক বছর পেরিয়ে গেলও আলোর মুখ দেখেনি  টোকাই। দুই টোকাইয়ের নয় সন্তান তারাও ইউনিয়ন পরিষদের গ্যারেজে বন্দি। এদিকে সাটুরিয়া সদরে প্রায় দুই শতাধিক আবাসিক ভবন রয়েছে। এসব ভবনের ময়লা আর্বজনা সাটুরিয়ার গাজীখালি নদীতে ফেলা হয়। ফলে গাজীখালি হারিয়েছে তার যৌবন ও নাব্যতা। নদীকে বাঁচানোর জন্য এ মহতি উদ্দ্যোগ নেওয়া হলেও আলোর মুখ দেখেনি এক বছরে। গাজীখালি নদী পাড়ে বেষ্টিত সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ কয়েকটি ক্লিনিকের ময়লা আর্বজনা যত্রতন্ত্র ভাবেই ফেলা হচ্ছে যেখানে সেখানে। 
 
এদিকে সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর থেকে ২ ভাগ টাকা সাটুরিয়ার ইউএনওর হিসাব নম্বরে জমা হয়। সেইখান থেকে দুইভাগের একভাগ টাকা ইউপি চেয়য়ারম্যানদের হিসাব নম্বরে দেওয়া হয়। সেই টাকা থেকে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানরা একটি প্রকল্প গ্রহন করেন। 
টোকাই প্রকল্পকে বাস্তবায়ন করতে নয়টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা খরচ করে ব্যাটারি চালিত ভ্যান টলি তৈরী করা হয় ময়লা আর্বজনা আনা নেওয়ার জন্য। টোকাই প্রকল্পের ক্লিন সাটুরিয়া ও গ্রিন সাটুরিয়াকে সাহার্য্য করার জন্য এ গাড়ি তৈরী করা হলেও কোন কাজে আসছে না। অযতনে অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের গাড়িগুলো। 
 
সাটুরিয়া স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গাজীখালী নদীর দুপাশে গড়ে উঠেছে অনেক প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন। সেইসব প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবনের ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য একটি টোকাই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। শুনেছি সরকারি কোষাগার থেকে ২৫ লক্ষ টাকা খরচ করে ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য উপজেলা পরিষদ দুটি গাড়ি এক বছর আগে আনা হয়েছিল। বিগত এক বছরে ময়লা আর্বজনা নেওয়ার জন্য একদিনও টোকাই গাড়ি আসেনি। যে টোকাই প্রকল্প জনগনের উপকারে আসবে না এ রকম লোভ দেখানো প্রকল্প গ্রহন করার আগে চিন্তা ভাবনা করে প্রকল্প গ্রহন করা উচিত। 
 
এ বিষয়ে কথা হয় সাটুরিয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার হোসেন পিন্টুর সঙ্গে। তিনি বলেন, এক বছর আগে টোকাই প্রকল্পের মাধ্যমে সাটুরিয়ার ময়লা আর্বজনা ফেলার জন্য দুটি গাড়ি কেনা হয়েছিল। কিন্তু ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং ষ্টেশন না করে গাড়ি ক্রয় করা হয়। সেই আদলে বরাদ্ধ দেওয়ায় প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে  ব্যাটারি চালিত টলি ভ্যান। ময়লা আর্বজনা ফেলার ডাম্পিং ষ্টেশন তৈরী না করে এ টোকাই প্রকল্প হাতে নেওয়া ঠিক হয়নি বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
 
কথা হয় দরগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলিনূর বকস রতনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকা খরচ করা হলেও সাটুরিয়া বাসিন্দাদের কোন উপকার লাগেনি টোকাই প্রকল্প। অহেতুক টাকা অপচয় করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। 
 
টোকাই প্রকল্প নিয়ে কথা হয় সাটুরিয়ার ইউএনও মোঃ ইকবাল হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি দুইমাস ধরে সাটুরিয়া উপজেলায় যোগদান করেছি। এ বিষয়ে আমি তেমন অবগত নয়। তবে টোকাই প্রকল্প কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সেই লক্ষ্যেই খুঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
উদ্দ্যেশ্য ঃ পৌরসভার মতো  এ উপজেলায় বর্জ্য সংগ্রহ, ব্যবস্থাপনা ও রিসাইকেল করতে টোকাই প্রকল্প চালুর উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় দুটি অত্যাধনিক মিনি গারবেজ ভ্যান কেনা হয়েছিল। সেই সাথে নয়টি ইউনিয়নে বর্জ্য পরিবহনের গাড়ি কেনার টাকা সরবারহ করা হয়েছিল। জনবহুল স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে রিসাইকেল করে বিভিন্ন পণ্য তৈরী করা হবে। অহেতুক এ প্রকল্প করে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা। যা কোন কাজেই আসছে না।

Rp / Rp

রামগতিতে শফিউল বারী বাবুর কবর জিয়ারত

কড়া নিরাপত্তার মধ্যে মাদারীপুর ও শরীয়তপুরে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

শিবচরে কাবার ভ্যানের ধাক্কায় মিনিবাস দুর্ঘটনা

নড়াইলে পশুহাটে মোবাইল কোর্ট ; ৬ জনকে ৩৬ হাজার টাকা জরিমান

সাটুরিয়ায় সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি, থানায় জিডি

প্রফেসর ড . জিল্লুর রহমান আর নেই

সাটুরিয়ায় কোরবানির পশুর হাটে সরবরাহ বেশি, দাম কম: খামারিদের লোকসানের আশঙ্কা

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক এর ইউনিয়ন গ্রাম আদালতের ডকুমেন্টেশন পর্যবেক্ষণ

কুষ্টিয়া ভেড়ামারায় শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ডেন্টিস্ট আটক

নড়াইলের নড়াগাঁতি থানা পুলিশের অভিযানের ৭০০ গ্রাম গাঁজা সহ গ্রেফতার এক

মাদারীপুরের শিবচরে জমে উঠেছে পশুর হাট,পছন্দের পশুর দিকে দৃষ্টি ক্রেতার

জুড়ীতে সুজা'র যোগসাজশে প্রাইম ব্যাংকের এজেন্ট সাব্বিরের মাতৃত্বকালীন ভাতা আত্মসাৎ

কুড়িগ্রামে একই ছাদের নিচে সকল প্রাণিজ আমিষের বিপণন কার্যক্রমের উদ্বোধন