ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

গোসাইরহাটে এক চিকিৎসক দিয়েই চলছে হাসপাতাল: বেড়েছে দালালের দৌরাত্ম্য


মোঃ মোস্তফা সরদার,  শরীয়তপুর প্রতিনিধি photo মোঃ মোস্তফা সরদার, শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭-৮-২০২৫ দুপুর ১:৭
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান মিঞাকে দিয়ে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
 
বুধবার (৬ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ৪১ জন। তবে চিকিৎসক রয়েছে ৮ জন। তারা সবাই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেষনে কর্মরত রয়েছেন। আর দুই জনের একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা, অপরজন দন্ত বিভাগে রয়েছেন। হাসপাতাল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতি গড়ে রোগী ভর্তি থাকে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন। এছাড়াও বর্হিবিভাগে প্রতিদিন অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী দেখছেন একজন চিকিৎসককে। এত রোগীর চাপ সামলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। অপারেশন না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। বারবার গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকগণ যোগদান করলেও কিছুদিন পরেই তারা এখান থেকে চলে যাচ্ছে কেন এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে, স্থানীয়রা জানান এক শ্রেণীর প্রভাবশালী দালাল চক্র রয়েছে, হাসপাতাল চলাকালীন সময়ে চিকিৎসকের রুমের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে থাকে। আর কয়েকটি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি চিকিৎসকের রুমের ভেতর অবস্থান করে। এদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের চিকিৎসক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা প্রতিনিয়ত চিকিৎসকদের উপর চাপ প্রয়োগ করে ঔষুধ লেখার জন্য আর অসাধু প্রভাবশালীরা চিকিৎসকদের চাপ প্রয়োগ করে সবার আগে তাদের রোগী দেখার জন্য। প্রতিনিয়ত এই চাপ প্রয়োগের কারণে চিকিৎসকরা এখানে যোগদান করলেও কিছুদিন পরেই চলে যায়। কোনো চিকিৎসক থাকতে চায় না গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষের জন্য গোসাইরহাট উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। চিকিৎসক সংকট হওয়ায় প্রতিদিন ভর্তি রোগীদের রাতে একবার দেখে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান। গোসাইরহাটের মানুষের এখন চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসাই এখন ডা. হাফিজুর রহমান। 
 
কয়েক রোগীর স্বজন অভিযোগ করে বলেন,
২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার চিকিৎসক আসেন রোগী দেখতে। চিকিৎসক বেশি থাকলে আমাদের সুবিধা হতো। তাই বাধ্য হয়েই প্রাইভেটে দেখাতে হচ্ছে। 
 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান মিঞা বলেন, চিকিৎসক না থাকায় একাই আমাকে ২৪ ঘন্টা এসব রোগীর চাপ নিতে হচ্ছে। একজনের পক্ষের এত রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব নয়। আমি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ সিভিল সার্জন ৩ জন চিকিৎসক পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করলেও কেউ এখানে এসে যোগদান করেনি।
 
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. রেহান উদ্দিন বলেন, ৩ জন পাঠানোর জন্য অর্ডার হয়েছে। আর হাসপাতাল দালালমুক্ত রাখতে আপনারা অভিযোগ করেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।
শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় স্বাস্থ্যসেবার বেহাল দশা। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি চলছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান মিঞাকে দিয়ে। রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
 
বুধবার (৬ আগস্ট) সরেজমিন গিয়ে ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ৪১ জন। তবে চিকিৎসক রয়েছে ৮ জন। তারা সবাই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেষনে কর্মরত রয়েছেন। আর দুই জনের একজন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা, অপরজন দন্ত বিভাগে রয়েছেন। হাসপাতাল ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হলেও প্রতি গড়ে রোগী ভর্তি থাকে অন্তত ৭০ থেকে ৮০ জন। এছাড়াও বর্হিবিভাগে প্রতিদিন অন্তত ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী দেখছেন একজন চিকিৎসককে। এত রোগীর চাপ সামলাতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তাই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না রোগীরা। অপারেশন না হওয়ায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান সব যন্ত্রপাতি। বারবার গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকগণ যোগদান করলেও কিছুদিন পরেই তারা এখান থেকে চলে যাচ্ছে কেন এ নিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে, স্থানীয়রা জানান এক শ্রেণীর প্রভাবশালী দালাল চক্র রয়েছে, হাসপাতাল চলাকালীন সময়ে চিকিৎসকের রুমের আশপাশে ঘোরাঘুরি করে থাকে। আর কয়েকটি ঔষধ কোম্পানির প্রতিনিধি চিকিৎসকের রুমের ভেতর অবস্থান করে। এদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের চিকিৎসক বা কর্মকর্তা-কর্মচারী কেউ ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তারা প্রতিনিয়ত চিকিৎসকদের উপর চাপ প্রয়োগ করে ঔষুধ লেখার জন্য আর অসাধু প্রভাবশালীরা চিকিৎসকদের চাপ প্রয়োগ করে সবার আগে তাদের রোগী দেখার জন্য। প্রতিনিয়ত এই চাপ প্রয়োগের কারণে চিকিৎসকরা এখানে যোগদান করলেও কিছুদিন পরেই চলে যায়। কোনো চিকিৎসক থাকতে চায় না গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর কিছু স্বার্থন্বেষী মানুষের জন্য গোসাইরহাট উপজেলার হাজার হাজার মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা থেকে। চিকিৎসক সংকট হওয়ায় প্রতিদিন ভর্তি রোগীদের রাতে একবার দেখে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান। গোসাইরহাটের মানুষের এখন চিকিৎসার জন্য একমাত্র ভরসাই এখন ডা. হাফিজুর রহমান। 
 
কয়েক রোগীর স্বজন অভিযোগ করে বলেন,
২৪ ঘণ্টার মধ্যে একবার চিকিৎসক আসেন রোগী দেখতে। চিকিৎসক বেশি থাকলে আমাদের সুবিধা হতো। তাই বাধ্য হয়েই প্রাইভেটে দেখাতে হচ্ছে। 
 
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. হাফিজুর রহমান মিঞা বলেন, চিকিৎসক না থাকায় একাই আমাকে ২৪ ঘন্টা এসব রোগীর চাপ নিতে হচ্ছে। একজনের পক্ষের এত রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব নয়। আমি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। সর্বশেষ সিভিল সার্জন ৩ জন চিকিৎসক পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করলেও কেউ এখানে এসে যোগদান করেনি।
 
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. রেহান উদ্দিন বলেন, ৩ জন পাঠানোর জন্য অর্ডার হয়েছে। আর হাসপাতাল দালালমুক্ত রাখতে আপনারা অভিযোগ করেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

Rp / Rp

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে শান্তিপূর্ণ হরতাল

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

বাগেরহাটের রামপালে নাগরিক ফোরাম গঠন

মাহাদেবপুরে ভ্রাম্যমান আদালত আত্রাই নদী থেকে নিষিদ্ধ ২৪টি রিং জাল ভষ্মীভূত করেছে

VBSZ পরিবারের উদ্যোগে ৬৬ শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ

সাটুরিয়ায় ধানের শীষের প্রচার প্রচারণায় মুখর বিএনপির নেতাকমীর্রা

পীরগঞ্জে অবৈধ ব্যবসা, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে কঠোর অভিযানের নির্দেশ, সাবেক সংসদ সদস্য

বাগেরহাটে ৪টি আসন বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, বুধ-বৃহ্স্পতি হরতাল

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে হলে সমতলের আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে

চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষার আকুতি - পাটকেলঘাটায় সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুরের শিবচরে যাদুয়ারচরে ময়লার খাল উদ্ধারের অভিযান 

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে যেতে রাজি নয় শরীয়তপুরবাসী