ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বর্ষা মৌসুমেও গালা বাজারে শ্রমিক বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে


ওমর ফারুক, মানিকগঞ্জ photo ওমর ফারুক, মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ৩০-৮-২০২৫ রাত ৮:২

সবে ভোরের আলো ফুটেছে। এখন সব মানুষ ঘুমে আছে। ভোর হওয়ার সাথে সাথেই মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার ধামশ্বর ইউনিয়নের গালা বাজারে শ্রমিক কেনা বেচার উৎসব শুরু হয়। ভোর হওয়ার সাথে সাথেই দূর দূরান্ত থেকে শ্রমিক সাইকেল চালিয়ে বা হেটে এই বাজারে আসে। মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে বিক্রি হয়ে যায় শত শত শ্রমিক। অন্যদিকে এই বাজার সম্পর্কে জুলহাস মিয়া দৈনিক সমাবেশকে বলেন, গালা বাজার ২০০৫ সালে ৩৫ শতাংশ জমির উপর এখানে হাট বসানো হয়। প্রতি রবিবার গালা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসতো। সেই হাট লাগানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও যাত্রা পালা অনুষ্ঠিত হতো। এরপরও বিভিন্ন কারণে এই হাটের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারেনি। পরে সেখানে হাট কমিটি নিয়মিত বাজার লাগানোর চিন্তাভাবনা করে। কিন্তু কিছুদিন চলার পর বিভিন্ন কারণে বাজারও বন্ধ হয়ে যায়। পরে শ্রমিকের বাজার লাগানোর কথা চিন্তা করলে তাৎক্ষণিকভাবে মাইকে ঘোষণা দেন। সেই পরামর্শে সবার আগে এগিয়ে আসেন আনোয়ার মেম্বার। পরের দিন থেকে শ্রমিকের বাজার লাগতে শুরু করেন। এভাবেই আস্তে আস্তে জমে উঠে শ্রমিক কেনা বেচার বাজার। এখন গালা বাজারে শ্রমিক কেনা বেচার বাজার এতই জনপ্রিয় হয়েছে যে অন্যান্য জেলা মানুষ এসেও সেখানে কাজ করেন। 

সিরাজগঞ্জ থেকে আশা শ্রমিক শামিম মিয়া বলেন,আমি গরীব অসহায় মানুষ খেটে না খেলে সংসার চালাতে খুব কষ্ট হবে। তবে এখানে বাজার লাগার কারণে আমাদের চিন্তা নেই, সকালে বাজারে গেলেই কোন না কোন মালিকের বাড়িতে কাজ পাবো। 

নাটোর জেলা থেকে আসা এক শ্রমিক জানান, আমরা ২০ জন শ্রমিক এই বাজারের আশেপাশেই থাকি। দুই বেলা আমাদের খাবার দেন জমির মালিক। দিন শেষে কেউ বাড়ি চলে যায়, কেউ রুম ভাড়া নিয়ে বাজারে বা বাজারের আশেপাশে থাকেন , আবার কেউ বাজারের এক পাশে মশারী টানিয়ে শুয়ে থাকে। ভোর হওয়ার সাথে সাথেই বাজারে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে আমরা সবাই উপস্থিত হই। কাজের চাহিদা বেশি হলে সব শ্রম বিক্রি হয়ে যায়।

বাজারের সভাপতি মো: মেছের মেম্বার জানান, এই শ্রমিক বাজারের আশেপাশের ২০-২৫ টি এলাকার মানুষের কৃষি কাজ উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে করছেন। কারণ এক সময় শ্রমিক না পাওয়ার কারণে হতাশ ছিলেন কৃষি জমির মালিক। এখন বাজারে গেলেই যেকোনো মূল্যে শ্রমিক পাওয়া যাবেই। 

শ্রমিকের দৈনিক মজুরি কত জানতে চাইলে শাজাহান মিয়া জানান,আমি পাট কেলানোর কাজ বেশ অনেক দিন যাবত করতেছি আমার দৈনিক মুজুরি দেয় ৯ শত টাকা।  

এ বিষয়ে মো:সিদ্দিক মোল্লা জানান, শ্রমিকের এই বাজার লাগার কারণে আমাদের কৃষি জমিতে কাজ করতে কোন সমস্যা হয় না। কৃষি আবাদের জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে বাজারে আসলেই দাম দর করে নিতে পারি শ্রমিক। 

এখন বর্ষাকাল তবুও যেন শ্রমিকের কাজের অভাব নেই। এখনো শ্রমিকের বর্তমান মূল্য ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। সারাবছর চাহিদা অনুপাতে শ্রমিকের দাম বিভিন্ন ধরনের হয়। এই সময় ধান লাগানো,পাট কাটা,পাট কেলানোর কাজ বেশি করতেছে দামও ভালো পাচ্ছে। এই দামে শ্রমিকরা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন, পাশাপাশি কৃষি জমির মালিকেরাও সন্তুষ্ট। কারণ ইচ্ছে করলেই শ্রমিক পাওয়া যায়। 

ধামশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড ইদ্রিস আলী জানান, শ্রমিকের বাজার লাগার কারণে গালা গ্রামসহ আশে পাশের কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষের কৃষি কাজ অনেক সহজ হয়েছে। এই শ্রমিকের বাজার হওয়াতে কৃষক কৃষিকাজে হতাশ হবে না। উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই কৃষি কাজ করতে পারবে বলে জানান তিনি।

Masum / Masum

বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহালের দাবিতে শান্তিপূর্ণ হরতাল

ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় বিএনপির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

সেপটিক ট্যাংকের ঝুঁকি ও করণীয় বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে ফায়ার সার্ভিস

বাগেরহাটের রামপালে নাগরিক ফোরাম গঠন

মাহাদেবপুরে ভ্রাম্যমান আদালত আত্রাই নদী থেকে নিষিদ্ধ ২৪টি রিং জাল ভষ্মীভূত করেছে

VBSZ পরিবারের উদ্যোগে ৬৬ শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষা উপকরণ

সাটুরিয়ায় ধানের শীষের প্রচার প্রচারণায় মুখর বিএনপির নেতাকমীর্রা

পীরগঞ্জে অবৈধ ব্যবসা, সন্ত্রাস ও মাদক দমনে কঠোর অভিযানের নির্দেশ, সাবেক সংসদ সদস্য

বাগেরহাটে ৪টি আসন বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, বুধ-বৃহ্স্পতি হরতাল

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে হলে সমতলের আদিবাসীদের ঐক্যবদ্ধ ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে

চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষার আকুতি - পাটকেলঘাটায় সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুরের শিবচরে যাদুয়ারচরে ময়লার খাল উদ্ধারের অভিযান 

প্রস্তাবিত ফরিদপুর বিভাগে যেতে রাজি নয় শরীয়তপুরবাসী